NNO
রাতুলতো অবাক।তার মা আবার কিসের পরীক্ষা দেবেন।
এটি বুঝতে হলে একটু ফ্লাশব্যাকে যেতে হবে।ম্যাথ অলিম্পিয়াড, সায়েন্স অলিম্পিয়াড, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি অলিম্পিয়াড এর কথা তো শুনেছেন। নিউজপেপার অলিম্পিয়াড এর কথা শুনেছেন কি? অনেকে বলবেন,নিউজপেপার অলিম্পিয়াড! এটা আবার কি? জি আপনি ঠিক শুনেছেন। এ অলিম্পিয়াড এর জন্ম বাংলাদেশের এক ছোট্ট শহরে। কলেজ পড়ুয়া এক ছেলের হাত ধরে এ অলিম্পিয়াড এর যাত্রা শুরু।মাত্র ১২০ টাকা পকেটে নিয়ে নিউজপেপার অলিম্পিয়াড শুরু করেছিল ছেলেটা। এখন তার যাত্রায় যোগ দিয়েছে ১৫০০ ছেলেমেয়ের বিশাল এক টিম। সবাই যখন ফেসবুকের জগতে হাসিঠাট্টায় মগ্ন সেই ফেসবুকের মাধ্যমেই নিউজপেপার অলিম্পিয়াড ছড়িয়ে যায় সারাদেশে। অনেকেরই আফসোস কলেজের পর আর অলিম্পিয়াডে অংশ নেয়ার সুযোগ হয়না। কিন্তু নিউজপেপার অলিম্পিয়াড এ কোনো বয়সের বাঁধা নেই।স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও অংশ নিতে পারে এ অলিম্পিয়াডে।প্রথম বছরেই এ অলিম্পিয়াডে ১০০০০ জন অংশ নেয়।বাংলাদেশের ৩৯ জেলার শিক্ষার্থীদের নিয়ে ১১ টি অঞ্চলে হয় বাছাইপর্ব।গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয়।প্রথম বছরই নিউজপেপার অলিম্পিয়াড দেশের গন্ডি পেরিয়ে চলে যায় বিশ্বের ৫ টি দেশে। ডিজিটাল এই যুগে প্রিন্ট মিডিয়া হারিয়ে যেতে চলেছে।হয়তো সংবাদপত্রের খারাপ সময় চলে এসেছে। অথচ পত্রিকা একটা রাষ্ট্রের ৪র্থ স্তম্ভ। অন্তত প্রতিযোগিতার ছলেও যেন সবাই পত্রিকা পড়ে সেজন্যই নিউজপেপার অলিম্পিয়াড!
একবার ঘুরে আসুন আমাদের অফিশিয়াল পেজ থেকে- www.Facebook.com/NPOBD.Official
এবার কাহিনিটা শেষ করা যাক।রাতুলের মা অংশ নিয়েছেন পত্রিকা অলিম্পিয়াডে! কখনো দেখেছেন ছেলেকে বসিয়ে রেখে মাকে অলিম্পিয়াড দিতে? এরকম আরও অনেক মূহুর্তের সাক্ষী নিউজপেপার অলিম্পিয়াড।
চলুন ছড়িয়ে দেই নিউজপেপার অলিম্পিয়াডের গল্প !
Comments
Post a Comment